মাধবপুর, (হবিগঞ্জ) ৩০ এপ্রিল : উপজলার তেলমাছড়া অভয়ারণ্যে দুর্লভ প্রজাতির এশিয়াটিক কালো ভালুক ৩টি বাচ্চা সহ ঘুরতে দেখেছে বন রক্ষীরা। বনের ভেতর চলতে দেখে এই ভালুকের ছবি ধারণ করা হয়েছে। ভালুকটি এখন তেলমাছড়া ও সালটিলা বনে বাচ্চা সহ ঘুরছে। স্থানীয় বন বিভাগ পার্শ্ববর্তী তেলমাছড়া ও সালটিলা পাহাড়ে সাধারণ মানুষকে নির্বিঘ্নে প্রবেশে সতর্কতা জারি করেছে।
তেলমাছড়া বনের বনরক্ষী, সাদেকুর রহমান জানান, বাচ্চাসহ এশিয়াটিক ভালুকটি ৩ টি বাচ্চা সহ সাতছড়ি, তেলমাছড়া ও সালটিলায় বনে বিচরণ করতে দেখা গেছে। আমরা খুব সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। জাতীয় উদ্যান ঘোষণার তেলমাছড়া বনে বিপন্ন প্রজাতির ভালুকের সংখ্যা বাড়ছে। বন কর্মীরা জীববৈচিত্রের প্রতি খুবই সহনশীল।
তেলমাছড়া বিট কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, অনেক পাহাড়ি শ্রমিক লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে বাচ্চাসহ ভালুকটিকে দেখেছে। পর্যটকদের বনে প্রবেশ করতে সাবধানতা অবলম্বন করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আমাদের টহল কার্যক্রমকেও জোরদার করেছি। আমরা লোকালয় ধরাপড়া জীবজন্তু তেলমাছড়া বনে প্রায়শই অবমুক্ত করছি। এ কারনে বনে জীব ও উদ্ভিদের ঘনত্ব বেড়েছে।
হবিগঞ্জের স্বেচ্ছাসেবী বন্যপ্রাণী সংগঠন পাখি প্রেমিক সোসাইটি-র যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বজিৎ পাল বলেন, তেলমাছড়া, সাতছড়ি ও রঘুনন্দন বনে পশু পাখি উদ্ভিদের সংখ্যা বেড়েছে।ভালুকসহ বন্যপ্রাণীদের পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ভালুকের নিরাপত্তা ও বন জঙ্গলের পরিবেশকে সুনিশ্চিত করতে আমাদের এলাকার বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা রেজওয়ান হাসানসহ বন বিভাগের জোরালো পদক্ষেপ কামনা করছি।
বাংলাদেশ বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলা জানান, মাধবপুরের তেলমাছড়ার বনে এশীয় ভালুকের উপস্থিতিকে সুখবর বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, এক সময় দেশের পার্বত্য অঞ্চল বিশেষ করে সিলেট-চট্টগ্রামের মিশ্র চিরসবুজ পাহাড়ি বনের গহীন অরণ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভালুকের বাস ছিল। কিন্তু বাসস্থান ধ্বংস, খাদ্যের অভাব, বনে অনুপ্রবেশ ও শিকার এবং পাচারের কারণে প্রাণীটি বিলুপ্ত হতে বসেছে। যদিও গহীন বনে কিছু ভালুক এখনও টিকে আছে। তেলমাছড়া ও সাতছড়ি, রঘুনন্দন বনে এশিয়াটিক ভালুক দেখা বাচ্চা সহ এটি জীববৈচিত্রের জন্য ভাল সংবাদ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan