ওয়েইন কাউন্টি, ২৩ জুন : সম্প্রতি ওয়েইন কাউন্টি রেজিস্টার অফ ডিডস বাসিন্দাদের দলিল জালিয়াতির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। মার্চ ২০২৫ থেকে প্রায় এক ডজন দলিল চুরির ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য ১ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
রেজিস্টার অফ ডিডস বার্নার্ড ইয়ংব্লাড জানিয়েছেন, এই জালিয়াতিগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই এমনভাবে সংঘটিত হয়েছে, যেখানে জাল দলিলের মাধ্যমে সম্পত্তির মালিকানা অন্যের নামে স্থানান্তর করা হয়েছে। এতে প্রকৃত মালিকরা তাদের সম্পত্তি ফিরে পেতে কঠিন ও ব্যয়বহুল আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে বাধ্য হন।
চলতি বসন্তে মিশিগানে কার্যকর হওয়া একটি নতুন আইন অনুযায়ী, দলিল অফিসে জাল দলিল জমা দেওয়াকে এখন গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এই আইন রেজিস্টার অফিসকে মামলায় সহ-ভুক্তভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে, ফলে তাদের আইনজীবীরা জালিয়াতির ঘটনা সরাসরি তদন্ত করে প্রসিকিউটরের অফিসে পাঠাতে পারছেন।
ইয়ংব্লাড বলেন, “যদি বাড়ির চুরি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলতে থাকে, তাহলে রিয়েল এস্টেট শিল্প থমকে যাবে, কারণ মালিকানা কোম্পানিগুলি অতিরিক্ত ঝুঁকির কারণে সম্পত্তির বীমা করতে অনাগ্রহী হয়ে পড়বে।”
তিনি আরও জানান, নতুন আইন জনসাধারণের জন্য উপকারী, কারণ এতে সন্দেহভাজন জালিয়াতি শনাক্ত ও প্রতিরোধ করার ক্ষমতা স্থানীয় রেজিস্টার অফিসের হাতে এসেছে—যেখানে অনেক ব্যক্তিমালিক আইনি লড়াই চালানোর মতো আর্থিক সামর্থ্য না-ও রাখতে পারেন।
দীর্ঘদিন ধরে দলিল জালিয়াতি রোধে সক্রিয় ইয়ংব্লাড জানান, ওয়েইন কাউন্টিতে তিনি প্রসিকিউটর কিম ওয়ার্থি এবং তৎকালীন শেরিফ ওয়ারেন ইভান্সের সঙ্গে যৌথভাবে একটি বন্ধকী ও দলিল জালিয়াতি ইউনিট গঠন করেছিলেন, যা ছিল দেশের প্রথম টাস্কফোর্সগুলোর একটি।
এই পদক্ষেপগুলির মূল লক্ষ্য হলো: সম্পত্তি মালিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, দালিলিক স্বচ্ছতা রক্ষা করা এবং রিয়েল এস্টেট শিল্পের অখণ্ডতা বজায় রাখা।
Source & Photo: http://detroitnews.com
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan