মাধবপুর, (হবিগঞ্জ) ২৬ জুন : উপজেলার এক্তিয়ারপুর গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে তার সহপাঠী ও গ্রামবাসিরা বৃহস্পতিবার সকালে এক্তিয়ারপুর স্কুল মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, সুমাইয়া আক্তার একজন সহজ সরল মেয়ে হিসেবে প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। তবে প্রকৃত অপরাধীদের বাদ দিয়ে গ্রামে সহজ সরল মানুষেরাই সুমাইয়া হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে তার চাচা রেনু মিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি এই ঘটনার সাথে জড়িত। তারা দাবি করেন, সুমাইয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করা প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। তাদের গ্রেফতার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন রোববার সন্ধ্যায় সুমাইয়াকে এক্তিয়ারপুর গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। পরে তার স্বজনরা তাকে দ্রুত হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার সংকটাপন্নতা দেখে চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ১টার দিকে সুমাইয়া মারা যান। পরদিন পুলিশ সুমাইয়ার মরদেহ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
ছাতিয়াইন তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এসআই আশীষ কুমার দে বলেন, সুরতহালে দেখা গেছে সুমাইয়ার শরীরে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে, যা তার মৃত্যুর কারণ।
ঘটনার তিন দিন পর, ১৮ জুন সুমাইয়ার পিতা বেনু মিয়া এক্তিয়ারপুর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে আশিক মিয়াকে (৪০) প্রধান আসামি করে মাধবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২২ জুন রাতে হবিগঞ্জ লস্করপুর এলাকা থেকে শায়েস্তগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা আসামি আশিক মিয়াকে গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করেন। বর্তমানে সে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে রয়েছেন।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সুমাইয়া হত্যা মামলার তদন্ত সুষ্ঠুভাবে চলমান আছে। প্রকৃত খুনিরা যাতে রক্ষা পায় না, সেই বিষয়ে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan