ঢাকা, ১৯ জুলাই :রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জাতীয় সমাবেশ শুরু হয় কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে। আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম দুপুর ২টায় শুরু হলেও সকাল থেকেই রাজধানীমুখী মানুষের ঢল নামে। এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। লাখো নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে এই সমাবেশে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ শহিদ পরিবারের সদস্যরাও।
সমাবেশের সমাপনী বক্তব্য দেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “আগামীর বাংলাদেশ কেমন হবে? আমি বলব, আরেকটা লড়াই হবে ইনশাআল্লাহ—একটা লড়াই হবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা দুর্নীতির বিরুদ্ধে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে আর কোনো চাঁদাবাজি হবে না, দুর্নীতি হবে না। চাঁদা আমরা নেব না, চাঁদা আমরা দেব না।”
বক্তব্য দেওয়ার সময় গরমের কারণে জামায়াত আমির অসুস্থ হয়ে দুইবার পড়ে যান। প্রথমে বক্তব্য শুরুর সময় মাথা থেকে টুপি খুলে নেন এবং কয়েক মিনিটের মধ্যেই মঞ্চে পড়ে যান। নেতাকর্মীরা তাকে ধরে শুইয়ে দেন। কিছু সময় বিশ্রামের পর আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বারের মতো তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে নেতারা তাকে চেয়ারে বসিয়ে দেন এবং তিনি বসে থেকেই বক্তব্য শেষ করেন।
জীবন থাকাকালে দেশের জন্য কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে তিনি বলেন, “আমার দুর্ভাগ্য, আমি আন্দোলনে শহিদ হতে পারিনি। আগামীতে যে আন্দোলন হবে, আল্লাহ যেন সেখানে আমাকে শহিদ হিসেবে কবুল করেন।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “এখন থেকে বাংলাদেশে পুরোনো কোনো কিছুই থাকবে না। পুরোনো বস্তা পচা জিনিস যদি এই দেশে থাকে, তাহলে কেন এত লোক জীবন দিল?”
জামায়াতের এই সমাবেশ সাত দফা দাবির ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক পুনর্বাসন, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা ও বিচারিক নিপীড়নের অবসানসহ বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয় নেতাদের বক্তব্যে। জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক পর্ব শেষ হয়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan