এতে উপস্থিত থাকবেন খ্যাতিমান রেস্টুরেন্ট মালিক, বিশিষ্ট ব্যক্তি, নীতিনির্ধারক ও গণমাধ্যম প্রতিনিধি, যারা একত্রে উদযাপন করবেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কারি খাতের অবদান ও ঐতিহ্য। এ বছরই বিসিএ অ্যাওয়ার্ডস ১৮তম বর্ষে পদার্পণ করছে। এই পুরস্কার শুধু শ্রেষ্ঠত্বকে স্বীকৃতি দেয় না, বরং ব্রিটেনের অন্যতম প্রিয় খাদ্য-সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরে। ১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত বিসিএ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ১২,০০০-এরও বেশি বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট ও টেকওয়ে-কে প্রতিনিধিত্ব করছে। এটি কেবল বাণিজ্য সংস্থা নয়, একটি সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন, উদ্যোক্তা প্ল্যাটফর্ম এবং ব্রিটিশ কারি ঐতিহ্যের রক্ষক। প্রথম প্রজন্মের পথিকৃৎ রেস্টুরেন্ট উদ্যোক্তারা যুক্তরাজ্যের প্রধান সড়কে কারিকে জনপ্রিয় করেছিলেন। আজ সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় তরুণ ও উদ্ভাবনী শেফরা নতুন স্বাদ ও সৃজনশীলতার ছোঁয়া যোগ করছেন।
গত বছর চালু হওয়া ‘ইয়ং কারি শেফ অ্যাওয়ার্ড’ ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে, যা অনুপ্রাণিত করেছে ব্রিটিশ কারি অ্যাওসিয়েশন (বিসিএ)-কে। তারা এখন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নতুন প্রতিভা খুঁজে বের করতে এবং রান্নাঘরে বৈচিত্র্য বাড়াতে। এর অংশ হিসেবে নারী শেফদের জন্যও সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে তারা এই খ্যাতিমান শিল্পে নিজেদের স্থান করে নিতে পারেন।

বিসিএ প্রেসিডেন্ট ওলি খান এমবিই বলেন, “৬৫ বছর পূর্তি আমাদের কমিউনিটির সংকল্প, সৃজনশীলতা ও সহনশীলতার সাক্ষ্য। আমাদের রেস্টুরেন্টগুলো শুধু খাবার সরবরাহ করে না, এগুলো সংস্কৃতির দূত হিসেবেও কাজ করে। আমরা অতীত ঐতিহ্যের গৌরব উদযাপন করছি এবং ভবিষ্যৎ গড়তে নতুন প্রতিভাকে স্বাগত জানাচ্ছি।”
সেক্রেটারি-জেনারেল মিতু চৌধুরী, বলেন, এটি আমাদের জন্য এমন এক সময়, যখন প্রবর্তকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং নতুন পথপ্রদর্শকদের সম্মান জানিয়ে ইতিহাসের নতুন অধ্যায় রচনা হচ্ছে।
বিসিএ-এর চিফ ট্রেজারার টিপু রহমান বলেন, ৬৫ বছর ধরে আমাদের সদস্যরা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। বিশেষ করে চাকরি তৈরি, কমিউনিটি সহায়তা, ও ব্রিটিশ সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করা সবকিছুর পেছনে রয়েছে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম। বিসিএ অ্যাওয়ার্ডস কেবল রন্ধনশিল্পে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি নয়, এটি উদ্যোক্তাদের দীর্ঘস্থায়ী সাফল্যেরও উৎসব।”
এই ঐতিহাসিক বছরে বিসিএ তার সদস্যদের স্বার্থ রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সংগঠনটি ব্যয়বৃদ্ধির চাপ, ইমিগ্রেশন নীতির সংস্কার এবং দক্ষতা উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সোচ্চার থাকবে। পাশাপাশি, বহু-সাংস্কৃতিকতা, উদ্ভাবন ও টেকসইতাকে ব্রিটেনের রন্ধনজগতের অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলতে বিসিএ অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
৬৫তম বর্ষপূর্তি শুধু অতীতের গৌরবগাঁথা নয়, এটি ভবিষ্যতের জন্য অঙ্গীকার, যাতে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা আরও শক্তিশালী হয়, নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসে, ঐতিহ্য সংরক্ষিত থাকে, এবং ব্রিটেনের কারি শিল্প আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রাণবন্ত ও সফল থাকে।