সিলেট, ১৯ আগস্ট : সিলেট নগরীর কোতোয়ালী মডেল থানাধীন সাগরদিঘীর পাড়ে এস.এ. ১৬৮৭ নং খতিয়ানের অন্তর্গত ৪১ নং দাগের ১.১০ একর ভূমি দখলকারী জালিয়াত চক্রের স্বরূপ উন্মোচন উপলক্ষে সোমবার প্রেস ব্রিফিং করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম, পিপিএম-সেবা।
পুলিশ কমিশনার জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা, গ্যাং সক্রিয়তা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চলতে থাকায় ভদ্র ও শান্তিপ্রিয় মানুষজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকাবাসী পুলিশের কাছে স্মারকলিপি দেন।
তদন্তে উঠে আসে, ২০০৬ সালে ‘ড্রিম সিটি’ নামে পরিচিত জমিটি জালিয়াত চক্রের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়। প্রকৃত মালিক রজনী রঞ্জন দত্তের এক সন্তানের নাম ব্যবহার করে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয় এবং সেই পরিচয়ে জাল কাগজপত্র, এমনকি পাসপোর্ট ও দলিলও তৈরি করা হয়। পরে জানা যায়, একজন সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে ভূমিদস্যু ইকবাল, সামরান, আনোয়ার, ছমিরন, আইজ্যাক গং প্রতারণার কাজে ব্যবহার করে।
কমিশনার বলেন, "এটি সরকারের মালিকানাধীন জমি। আমরা দীর্ঘদিনের জালিয়াত সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সক্ষম হয়েছি। এখন আর কোনো অঘটন ঘটছে না। যারা অবৈধভাবে জমি দখল করে রেখেছেন তাদের প্রতি অনুরোধ, নিজে থেকেই সরে যান। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরাধী যেই হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।"
তিনি আরও জানান, পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে শুধু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ইতোমধ্যেই জুয়ার আসর, মাদক ও গ্যাং অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, রজনী রঞ্জন গুপ্ত ১৯৪৬ সালে ভারতে চলে যান এবং তিনিসহ তার উত্তরাধিকারীরা মৃত্যুবরণ করেন। এ সুযোগে প্রতারক চক্র ভূয়া দলিল ও জালিয়াতির মাধ্যমে তার ১১০ শতক ভূমি আত্মসাৎ করার অপচেষ্টা চালায়। প্রেস ব্রিফিংয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Suprobhat Michigan