নির্বাচনী উত্তাপে পুড়ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কিন্তু রাজনৈতিক ডামাডোলের যেন শেষ নেই। অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি লাগাতার অবরোধ আর হরতালির মতো কর্মসূচি পালন করে চলেছে। এখনো পর্যন্ত মেনে নেয়নি তফসিল। তাদের সিদ্ধান্তে অনড়। নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না। বড় চিন্তায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ। এসব কিছুর এফেক্ট গিয়ে পড়ছে দেশটার অর্থনীতিতে। বাংলাদেশের বহু বিশেষজ্ঞ ইতিমধ্যেই মনে করছেন, যদি এই মুহূর্তে দেশটার অর্থনীতি আর গার্মেন্ট শিল্পকে বাঁচাতে হয় তাহলে নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু হওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হবে? সুষ্ঠ অবাধ নিরপেক্ষ নাকি অশান্তিতে পরিপূর্ণ, দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার? এই নিয়ে আলাপ আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। বিষয়টা পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বারংবার বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনের উপর নজর রেখেছে। একটু পান থেকে চুন খসলেই বাংলাদেশকে তার জবাব দিতে হবে। ঘুরে ফিরে সবার দাবি একটাই। নির্বাচন হতে হবে, অবাধ এবং সুষ্ঠু। সংবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার নির্বাচনের আয়োজন করলেও তা কোন ভাবে মেনে নিচ্ছে বহু বিরোধী দল। তারা চাইছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। অনেকেরই মতে, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাংলাদেশের নির্বাচনে পড়ছে বিদেশিদের থাবা। যেখান থেকে দেশটার অর্থনীতি আর ভবিষ্যৎকে রক্ষা করতে গেলে, দেশটাকে বাঁচাতে গেলে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই দরকার। এই দাবি শুধু বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর নয়, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণেরও। দেশটার গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে, নির্বাচনকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
একদিকে করোনা মহামারী, অপরদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জেরে এমনি থেকেই ধুঁকছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। তার উপর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। নাজেহাল সাধারণ মানুষের জীবন। বাংলাদেশের বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে যেন আগুন লেগেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের অবস্থা ভীষণ খারাপ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০০ টাকা কিংবা ১০০০ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে মন পছন্দের বাজার পাবেন না। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তা মানেই কিন্তু এক প্রকার ভীতির সংস্কৃতি। যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে তারা অত্যন্ত সাবধানে থাকেন। বিনিয়োগ করেন ভীষণ সতর্ক হয়ে। তার ওপর দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না উদ্যোক্তাদের। গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য কম দামি বেচছেন, অথচ হিসেব করলে দেখা যাবে অবরোধের আগে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যা দাম ছিল এখন কিন্তু সেই দামে অনেকটা ফারাক। যার অন্যতম কারণ বাধা প্রাপ্ত সরবরাহ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে একটা বোঝাপড়ার ভীষণ দরকার। না হলে পরিস্থিতি যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।
সৌজন্যে প্রথম কলকাতা
বাংলাদেশের নির্বাচন কেমন হবে? সুষ্ঠ অবাধ নিরপেক্ষ নাকি অশান্তিতে পরিপূর্ণ, দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার? এই নিয়ে আলাপ আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। বিষয়টা পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। বারংবার বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যু নিয়ে কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বহু দেশ বাংলাদেশের নির্বাচনের উপর নজর রেখেছে। একটু পান থেকে চুন খসলেই বাংলাদেশকে তার জবাব দিতে হবে। ঘুরে ফিরে সবার দাবি একটাই। নির্বাচন হতে হবে, অবাধ এবং সুষ্ঠু। সংবিধান অনুযায়ী, বাংলাদেশ সরকার নির্বাচনের আয়োজন করলেও তা কোন ভাবে মেনে নিচ্ছে বহু বিরোধী দল। তারা চাইছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। অনেকেরই মতে, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাংলাদেশের নির্বাচনে পড়ছে বিদেশিদের থাবা। যেখান থেকে দেশটার অর্থনীতি আর ভবিষ্যৎকে রক্ষা করতে গেলে, দেশটাকে বাঁচাতে গেলে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন অবশ্যই দরকার। এই দাবি শুধু বিদেশি রাষ্ট্রগুলোর নয়, বাংলাদেশের সাধারণ জনগণেরও। দেশটার গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে, নির্বাচনকেও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
একদিকে করোনা মহামারী, অপরদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের জেরে এমনি থেকেই ধুঁকছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। তার উপর রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে মূল্যস্ফীতি। নাজেহাল সাধারণ মানুষের জীবন। বাংলাদেশের বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামে যেন আগুন লেগেছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের অবস্থা ভীষণ খারাপ। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫০০ টাকা কিংবা ১০০০ টাকা নিয়ে বাজারে গেলে মন পছন্দের বাজার পাবেন না। রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তা মানেই কিন্তু এক প্রকার ভীতির সংস্কৃতি। যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে তারা অত্যন্ত সাবধানে থাকেন। বিনিয়োগ করেন ভীষণ সতর্ক হয়ে। তার ওপর দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না উদ্যোক্তাদের। গ্রামের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য কম দামি বেচছেন, অথচ হিসেব করলে দেখা যাবে অবরোধের আগে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যা দাম ছিল এখন কিন্তু সেই দামে অনেকটা ফারাক। যার অন্যতম কারণ বাধা প্রাপ্ত সরবরাহ। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে একটা বোঝাপড়ার ভীষণ দরকার। না হলে পরিস্থিতি যেভাবে অনিশ্চয়তার দিকে যাচ্ছে তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে।
সৌজন্যে প্রথম কলকাতা