শপথ নিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র  ডা.শাহাদাত হোসেন

আপলোড সময় : ০৩-১১-২০২৪ ০৩:২৬:১৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৩-১১-২০২৪ ০৩:২৬:১৬ অপরাহ্ন
 চট্টগ্রাম, ৩ নভেম্বর : চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নতুন মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি ২০২১ সালের মেয়র নির্বাচনে কারচুপির কারণে পরাজিত হয়েছেন বলে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন। পরে তাকে মেয়র ঘোষণা করা হয়।
রোববার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে তাকে শপথবাক্য পাঠ করান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। আইন অনুযায়ী নতুন মেয়রের মেয়াদ নির্ধারণ হবে বলে জানান উপদেষ্টা।
স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব মো. নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে প্রধান অতিথি উপদেষ্টা হাসান আরিফ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়রকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ডা. শাহাদাত হোসেন বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশের একটি প্রধান নগরীর মেয়র হয়েছেন। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের শিক্ষাকে বুকে ধারণ করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবেন, এটাই তার কাছে প্রত্যাশা করি। আমরা গ্রীণ চট্টগ্রাম দেখতে চাই। জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম দেখতে চাই। ক্লিন সিটি হিসেবে নগরবাসীরও একই প্রত্যাশা।  
তিনি আরও বলেন, পেছনের সব ধ্যান-ধারণা, চিন্তাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে ছাত্র-জনতা-শ্রমিকদের যে অর্জনের জন্য তাদের আত্মত্যাগ রয়েছে, সে প্রত্যাশা পূরণের জন্য বৈষম্যহীন শক্তিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে দেখতে চাই। আমি মনে করি, এ প্রত্যাশা চট্টগ্রামের প্রতিটি নাগরিকের। আমাদের প্রত্যাশা বৈষম্যহীন বাংলাদেশের।
অনুষ্ঠানে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম সহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
ডা. শাহাদাত হোসেনের একান্ত সচিব মারুফুল হক চৌধুরী বলেন, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতা, মেয়রের আত্মীয়-স্বজনসহ ২৭ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
তিন বছর পর আইনি লড়াইয়ে বিজয়ী হয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শাহাদাত হোসেন শপথ নিলেন। ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে ২৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন পরাজিত প্রার্থী শাহাদাত। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় ১৯ আগস্ট ওই সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ করে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় গত ১ অক্টোবর শাহাদাত হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক এই আহ্বায়ককে মেয়র ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।
শপথ নিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। যদি চট্টগ্রাম শহরের ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপ করা যায়- বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি। গ্রীণ সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি- এসব আমার নির্বাচনী ইশতেহার। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাব।
অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা জানান, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর না থাকায় ১৭ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে, যারা নতুন মেয়রের সঙ্গে চট্টগ্রামের উন্নয়নে কাজ করবেন।
 

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com