কুশিয়ারায় অবৈধ বালু উত্তোলন ও প্রকল্প বানিজ্যে নদী হুমকিতে : শরীফ জামিল

আপলোড সময় : ০৫-০৪-২০২৫ ১২:৫৯:৫৬ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৫-০৪-২০২৫ ১২:৫৯:৫৬ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জ, ৫ এপ্রিল : নবীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুর এলাকায় কুশিয়ারা নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন ও নদীভাঙন পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নাগরিক সংগঠন ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’-র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক শরীফ জামিল। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সকালে তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার ও ধরা-সিলেট এর সদস্য সচিব আবদুল করিম চৌধুরী কিম, খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার ও ধরা-হবিগঞ্জ এর সদস্য সচিব তোফাজ্জল সোহেল, এবং অন্যান্য পরিবেশকর্মীরা।
পরিদর্শনকালে শরীফ জামিল বলেন, "অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে কুশিয়ারা নদী ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়েছে। বসতভিটা হারানোর আতঙ্কে রয়েছেন তীরবর্তী বাসিন্দারা।" তিনি আরও বলেন, “একদিকে চলছে অনিয়ন্ত্রিত বালু উত্তোলন, অন্যদিকে ভাঙনরোধের নামে কোটি টাকার ব্লক প্রকল্প। এটি প্রকৃতপক্ষে প্রজেক্ট বানিজ্য।” স্থানীয়দের অভিযোগ, বালু উত্তোলনের পরিমাণ, পদ্ধতি বা শর্তাবলী সম্পর্কে কোনো ধরনের স্বচ্ছতা দেখা যাচ্ছে না। দিনরাত ড্রেজার মেশিন দিয়ে চলছে বালু উত্তোলন। রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের এজেন্টরা এলাকাবাসীকে ভয়ভীতি ও মামলার হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছে বলেও জানান তারা।
এদিকে, প্রায় ৫৭৩ কোটি টাকার কুশিয়ারা প্রতিরক্ষা বাঁধ প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিবেশকর্মীরা। নদী খনন বা সঠিক ব্যবস্থাপনা ছাড়াই এই বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পকে “অর্থ লুটপাটের একটি কৌশল” হিসেবে দেখছেন তারা।
পরিদর্শন শেষে শরীফ জামিল বলেন, “কোনো প্রকল্পই স্থানীয় জনগণের মতামত নিয়ে হয়নি। এখনই প্রশাসন যদি অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে কুশিয়ারার পাড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।”

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com