
সিমা প্যাটেল, বিচারক মিশিগান কোর্ট অফ ক্লেইমস/Photo : Daniel Mears, The Detroit News
ডেট্রয়েট, ১৫ মে: মিশিগান কোর্ট অফ ক্লেমস-এর বিচারক সিমা প্যাটেল মঙ্গলবার এক ঐতিহাসিক রায়ে রাজ্যের গর্ভপাত সংক্রান্ত ২৪ ঘণ্টার বাধ্যতামূলক অপেক্ষার সময়কাল ও "ইনফর্মড কনসেন্ট" বা অবহিত সম্মতির আইন বাতিল করে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে গর্ভপাত করানোর আগে নারীদের আর একদিন অপেক্ষা করতে হবে না এবং আগে থেকে নির্দিষ্ট তথ্যপত্রে স্বাক্ষরেরও আর প্রয়োজন নেই।
বিচারকের মতে, এই আইনগুলো নারীর মৌলিক অধিকার ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এবং চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বাধা তৈরি করে। এই রায় মিশিগানে গর্ভপাত অধিকারকে আরও জোরদার করল এবং ২০২২ সালে রাজ্যের সংবিধানে গর্ভপাতের অধিকার সংরক্ষণের পর এটি একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটিক অ্যাটর্নি জেনারেল ডানা নেসেল, যিনি সাধারণত রাজ্যের আইন সমর্থনের দায়িত্বে থাকেন, তিনি এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবস্থান নিয়েছেন। তিনি নর্থল্যান্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর করা মামলার পক্ষে অবস্থান নেন — যা মেট্রো ডেট্রয়েটে তিনটি গর্ভপাত ক্লিনিক পরিচালনা করে।
নেসেল নিজ বিভাগের ভেতরে একটি 'লিগ্যাল ফায়ারওয়াল' (আইনি বিভাজন) গড়ে তোলেন, যাতে করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক রেস্টুসিয়া স্বাধীনভাবে রাজ্য আইনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন এবং মিশিগানের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।
মঙ্গলবার বিচারক সিমা প্যাটেল যে রায় দেন, তা নেসেল উদযাপন করেন এবং বলেন, বাতিল হওয়া বিধিনিষেধগুলো "শুধুমাত্র গর্ভপাতের পথে বাধা সৃষ্টি করত এবং অ্যাক্সেসকে জটিল করে তুলত" — এর বাইরে এগুলোর কোনও ইতিবাচক ভূমিকা ছিল না।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মিশিগানের ডেমোক্রেটিক গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার বলেন, “এই রায় নিশ্চিত করে যে মিশিগানের নারীরা রাজনীতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজেদের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।” এই রায় মিশিগানে নারীর অধিকার ও প্রজনন স্বাধীনতা রক্ষায় একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই রায়ের ফলে মিশিগানে গর্ভপাত পরিষেবা আরও সহজলভ্য হবে এবং রোগীদের জন্য বাধাগুলি হ্রাস পাবে, বিশেষ করে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে রাজ্যের কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরোধতিা করেছেন। রেস্তুসিয়া মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিশিগান কোর্ট অফ আপিল-এ আপিল করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। নেসেলের অফিস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেনি যে রেস্তুসিয়া আপিল করবেন কিনা।
Source & Photo: http://detroitnews.com
ডেট্রয়েট, ১৫ মে: মিশিগান কোর্ট অফ ক্লেমস-এর বিচারক সিমা প্যাটেল মঙ্গলবার এক ঐতিহাসিক রায়ে রাজ্যের গর্ভপাত সংক্রান্ত ২৪ ঘণ্টার বাধ্যতামূলক অপেক্ষার সময়কাল ও "ইনফর্মড কনসেন্ট" বা অবহিত সম্মতির আইন বাতিল করে দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে গর্ভপাত করানোর আগে নারীদের আর একদিন অপেক্ষা করতে হবে না এবং আগে থেকে নির্দিষ্ট তথ্যপত্রে স্বাক্ষরেরও আর প্রয়োজন নেই।
বিচারকের মতে, এই আইনগুলো নারীর মৌলিক অধিকার ও গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে এবং চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বাধা তৈরি করে। এই রায় মিশিগানে গর্ভপাত অধিকারকে আরও জোরদার করল এবং ২০২২ সালে রাজ্যের সংবিধানে গর্ভপাতের অধিকার সংরক্ষণের পর এটি একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাটিক অ্যাটর্নি জেনারেল ডানা নেসেল, যিনি সাধারণত রাজ্যের আইন সমর্থনের দায়িত্বে থাকেন, তিনি এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী অবস্থান নিয়েছেন। তিনি নর্থল্যান্ড ফ্যামিলি প্ল্যানিং-এর করা মামলার পক্ষে অবস্থান নেন — যা মেট্রো ডেট্রয়েটে তিনটি গর্ভপাত ক্লিনিক পরিচালনা করে।
নেসেল নিজ বিভাগের ভেতরে একটি 'লিগ্যাল ফায়ারওয়াল' (আইনি বিভাজন) গড়ে তোলেন, যাতে করে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক রেস্টুসিয়া স্বাধীনভাবে রাজ্য আইনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন এবং মিশিগানের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন।
মঙ্গলবার বিচারক সিমা প্যাটেল যে রায় দেন, তা নেসেল উদযাপন করেন এবং বলেন, বাতিল হওয়া বিধিনিষেধগুলো "শুধুমাত্র গর্ভপাতের পথে বাধা সৃষ্টি করত এবং অ্যাক্সেসকে জটিল করে তুলত" — এর বাইরে এগুলোর কোনও ইতিবাচক ভূমিকা ছিল না।
এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় মিশিগানের ডেমোক্রেটিক গভর্নর গ্রেচেন হুইটমার বলেন, “এই রায় নিশ্চিত করে যে মিশিগানের নারীরা রাজনীতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই নিজেদের শরীর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।” এই রায় মিশিগানে নারীর অধিকার ও প্রজনন স্বাধীনতা রক্ষায় একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই রায়ের ফলে মিশিগানে গর্ভপাত পরিষেবা আরও সহজলভ্য হবে এবং রোগীদের জন্য বাধাগুলি হ্রাস পাবে, বিশেষ করে যারা রাজ্যের বাইরে থেকে চিকিৎসা নিতে আসেন। তবে রাজ্যের কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরোধতিা করেছেন। রেস্তুসিয়া মঙ্গলবারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মিশিগান কোর্ট অফ আপিল-এ আপিল করবেন কিনা তা স্পষ্ট নয়। নেসেলের অফিস তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেনি যে রেস্তুসিয়া আপিল করবেন কিনা।
Source & Photo: http://detroitnews.com