
ঢাকা, ২৫ জুন: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শুধু ১৯৭১ সালের ঘটনা নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর দ্বারা কেউ যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন, তাদের সকলের কাছে তিনি বিনা শর্তে ক্ষমা চেয়েছেন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটিতে তাকে প্রশ্ন করা হয়, যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার পর দেওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে তার ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাওয়ার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ অন্তর্ভুক্ত ছিল কি না। জবাবে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, “শুধু একাত্তর নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যত মানুষ কষ্ট পেয়েছেন, তাদের সকলের কাছে আমি নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যক্তি যেমন ভুল করতে পারে, তেমনি একটি সংগঠনও ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক তা নির্ধারণ করবে ইতিহাস। আজ যা ভুল মনে হচ্ছে, কাল হয়তো সেটিই সঠিক হিসেবে বিবেচিত হবে।”
ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেন, জামায়াতে ইসলাম একটি আদর্শভিত্তিক দল, যারা ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। “আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের দ্বারা কিংবা আমাদের কর্মীদের দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে, তাদের কাছে আমাদের দুঃখপ্রকাশ করাই উচিত। আমি সবকিছুর জন্য কোন শর্ত আরোপ না করেই মাফ চেয়েছি,” বলেন তিনি।
তিনি মনে করেন, “ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনো পরাজয় নেই, কোনো লজ্জা নেই। বরং এটি একজন মানুষের মানবিক মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ।”
ডা. শফিকুর রহমানের এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে একে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও, কেউ কেউ একে কৌশলী রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবেও দেখছেন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশন টকশো অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটিতে তাকে প্রশ্ন করা হয়, যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার পর দেওয়া এক সংবাদ সম্মেলনে তার ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাওয়ার বক্তব্যে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ অন্তর্ভুক্ত ছিল কি না। জবাবে তিনি বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, “শুধু একাত্তর নয়, ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আমাদের দ্বারা যত মানুষ কষ্ট পেয়েছেন, তাদের সকলের কাছে আমি নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চেয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “ব্যক্তি যেমন ভুল করতে পারে, তেমনি একটি সংগঠনও ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক তা নির্ধারণ করবে ইতিহাস। আজ যা ভুল মনে হচ্ছে, কাল হয়তো সেটিই সঠিক হিসেবে বিবেচিত হবে।”
ডা. শফিকুর রহমান দাবি করেন, জামায়াতে ইসলাম একটি আদর্শভিত্তিক দল, যারা ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। “আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের দ্বারা কিংবা আমাদের কর্মীদের দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকলে, তাদের কাছে আমাদের দুঃখপ্রকাশ করাই উচিত। আমি সবকিছুর জন্য কোন শর্ত আরোপ না করেই মাফ চেয়েছি,” বলেন তিনি।
তিনি মনে করেন, “ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোনো পরাজয় নেই, কোনো লজ্জা নেই। বরং এটি একজন মানুষের মানবিক মূল্যবোধ ও দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ।”
ডা. শফিকুর রহমানের এই বক্তব্য নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকে একে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখলেও, কেউ কেউ একে কৌশলী রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবেও দেখছেন।