৩৯ বছর পর ধর্ষণ মামলার রহস্যভেদ, অভিযুক্ত গ্রেফতারের আগেই মৃত

আপলোড সময় : ০২-০৮-২০২৫ ০৪:০২:৩০ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০২-০৮-২০২৫ ০১:১৫:৫৯ অপরাহ্ন
মারকুয়েট, ২ আগস্ট : জেনেটিক বংশতালিকা বিশ্লেষণ এবং নর্দার্ন মিশিগান ইউনিভার্সিটির কোল্ড কেস প্রজেক্টের সহায়তায় মিশিগান স্টেট পুলিশ ১৯৮৬ সালে সংঘটিত একটি ধর্ষণ মামলার সঙ্গে উইসকনসিনের এক ব্যক্তিকে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের আগেই তাকে তার নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানায়, ৭৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি উইসকনসিনের আর্গোন শহরের বাসিন্দা ছিলেন। প্রসিকিউটররা তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুমোদন করলেও মঙ্গলবার গ্রেপ্তারের পরিকল্পনার আগেই, রবিবার তিনি মৃত অবস্থায় উদ্ধার হন। এখন তার মৃত্যুর কারণ তদন্তাধীন রয়েছে।
যেহেতু তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের আগেই মৃত্যু ঘটেছে, কর্তৃপক্ষ তার পরিচয় প্রকাশ করেনি। তবে ভুক্তভোগীকে জানানো হয়েছে যে, ফরেনসিক ডিএনএ পরীক্ষায় সন্দেহভাজনকে নিঃসন্দেহে শনাক্ত করা গেছে।
মিশিগান স্টেট পুলিশের পরিচালক কর্নেল জেমস এফ. গ্রেডি  দ্বিতীয় বলেন, “এই মামলাটি ন্যায়বিচারের জন্য অধ্যবসায় ও আন্তঃসংস্থাপনীয় সহযোগিতার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। আমি আমাদের নিবেদিত গোয়েন্দা, ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ, উইসকনসিনের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং নর্দার্ন মিশিগান ইউনিভার্সিটির ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
১৯৮৬ সালের আগস্টে, এক নারী সাইকেলযোগে ল্যাক ডু ফ্ল্যাম্বো, উইসকনসিন থেকে সল্ট সেন্ট মেরি, মিশিগান যাওয়ার পথে গার্ডেন টাউনশিপের ইউএস-২ সড়কের পাশের একটি পাবলিক বাথরুমে যাত্রাবিরতি করেন। এ সময় এক বন্দুকধারী তাকে জিম্মি করে গাড়িতে তুলে নেয় এবং পরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে বারবার ধর্ষণের শিকার হন। অবশেষে ওই ব্যক্তি তাকে মুক্তি দেয়।
২০২৩ সালের শরৎকালে, এই পুরোনো মামলাটি পর্যালোচনার জন্য নর্দার্ন মিশিগান ইউনিভার্সিটির কোল্ড কেস প্রোগ্রামে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তকারীরা ‘ফরেনসিক ইনভেস্টিগেটিভ জেনেটিক জিনিওলজি’ নামক এক আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন, যা অপরাধস্থলে পাওয়া ডিএনএ নমুনাকে পারিবারিক গোষ্ঠীর ডাটাবেসের সঙ্গে মিলিয়ে সম্ভাব্য সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করে। মিশিগান রাজ্য পুলিশ তাদের প্রমাণ পাঠায় টেক্সাসের ফরেনসিক প্রতিষ্ঠান Othram Inc.-এর কাছে। প্রতিষ্ঠানটি ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সন্দেহভাজনের পরিচয়ের দিকে নির্দেশ করে।
ওথ্রামের প্রধান কর্মকর্তা ক্রিস্টেন মিটেলম্যান বলেন, “যদিও এটি একটি কোল্ড কেস, তবুও সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষ চিরকাল বাঁচে না, আর ভুক্তভোগীদের উত্তর জানার অধিকার আছে।”
এই মামলাটি মিশিগানে ফরেনসিক জেনেটিক প্রযুক্তি ব্যবহারে সমাধান হওয়া অন্যতম প্রাচীন যৌন নির্যাতনের মামলা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এটি রাজ্য পুলিশ এবং ওথ্রামের যৌথ প্রচেষ্টায় শনাক্ত হওয়া ২০তম কোল্ড কেস। ডিএনএ মেলানোর পর তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি ধর্ষণের সময় ঘটনাস্থলের কাছাকাছি হ্যারিসে থাকতেন এবং পরে উইসকনসিনে চলে যান। পুলিশের ডিএনএ ওয়ারেন্টে প্রাপ্ত নমুনা ১৯৮৬ সালের মামলার নমুনার সঙ্গে মিলে যায়, ফলে নিশ্চিত হয় যে তিনিই ঘটনার মূল হোতা।
ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রযুক্তির মাধ্যমে এর আগেও পুলিশ একাধিক পুরনো মামলার সমাধান করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৮৭ সালে ওহিওতে পাওয়া অজ্ঞাত মানবদেহাবশেষ, ১৯৯৮ সালে ডেট্রয়েটের একটি খালি ভবনে পাওয়া মৃতদেহ, এবং ২০০১ সালে ওহাইওর ক্যান্টনে পাওয়া এক “জন ডো”-র কঙ্কাল, যিনি সাত বছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
Source & Photo: http://detroitnews.com
 

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com