মিশিগানে আবারও হুমকির মুখে কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার

আপলোড সময় : ০৫-০৮-২০২৫ ১২:৫২:০২ পূর্বাহ্ন , আপডেট সময় : ০৫-০৮-২০২৫ ১২:৫২:০২ পূর্বাহ্ন
Photo : Creazilla

ল্যান্সিং, ৫ আগস্ট: এক সময় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার পাখি আবারও সংকটে। গত চার দশকে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কিছুটা উন্নতি হলেও, ২০২৫ সালের সর্বশেষ বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে, এ প্রজাতির সংখ্যা আবারও কমতে শুরু করেছে।
মিশিগান প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের জরিপে ছোট ধূসর-হলুদ গায়ক পাখিটির মাত্র ১,৪৮৯টি প্রজনন জোড়া শনাক্ত করা গেছে, যেখানে ২০২১ সালে সংখ্যা ছিল ২,২৪৫ জোড়া। প্রায় ৯৮ শতাংশ কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলারের আবাসস্থল মিশিগানে, বাকি সামান্য কিছু অন্টারিও ও উইসকনসিনে। জনসংখ্যার এই নিম্নমুখী প্রবণতা আগামী কয়েক বছর অব্যাহত থাকতে পারে বলেও সতর্ক করেছে ডিএনআর।
এই সংকটের মূল কারণ আবাসস্থলের সংকট। কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলাররা প্রজননের জন্য নির্ভর করে তরুণ জ্যাক পাইন বনের ওপর, যেখানে তারা মাটিতে বাসা বাঁধে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দাবানলের পর জ্যাক পাইন বন পুনর্জন্ম লাভ করে। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে বন সংস্থাগুলো কৃত্রিমভাবে সেই প্রক্রিয়া অনুকরণ করে আসছে, পুরোনো বন পরিষ্কার করে নতুন গাছ রোপণ করে।
সমস্যা দেখা দেয় ১৯৮০-এর দশকে গৃহীত ব্যাপক পুনরোপণ কর্মসূচির ফলস্বরূপ। এখন মিশিগানের অধিকাংশ জ্যাক পাইন বনই ৩০-৪০ বছর বয়সী, যা কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলারের প্রজননের জন্য অনেকটাই অনুপযুক্ত। কারণ এই পাখি ২০ বছরের বেশি বয়সী বন ব্যবহার করে না, আর কাঠ সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করতে হয় অন্তত ৬০ বছর।
ফলে তৈরি হয়েছে এক প্রকার বন ব্যবস্থাপনা সংকট। এই 'মধ্যবয়সী' বনগুলো পাখির বাসার জন্য যেমন পুরোনো, তেমনি কাঠ কাটার জন্যও অপরিপক্ব। এতে করে নতুন জ্যাক পাইন বন গড়ে তোলার কাজ পিছিয়ে পড়ছে।
এই সমস্যার আরেকটি দিক অর্থনৈতিক। কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক বিল রাপাই বলেন, "জ্যাক পাইন মূলত একটি আবর্জনা প্রজাতি।" এর কাঠের বাজারদর খুবই কম, এবং এটি সাধারণত চিপবোর্ড, মালচ বা জ্বালানি কাঠ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন এই গাছ কাটার কাজেও আগ্রহ দেখায় না।
মিশিগান অডুবনের শিক্ষা ও ইভেন্ট ব্যবস্থাপক লিন্ডসে কেইন জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত তরুণ জ্যাক পাইন বন নিশ্চিত করতে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করা হয়। এটি রাজ্য ও ফেডারেল এজেন্সিগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, যাদের বিভিন্ন প্রজাতির জন্য প্রচুর সমর্থন প্রদান করতে হয়। তিনি বলেন, “সবার পূর্ণ সমর্থন ছাড়া পর্যাপ্ত জমির পরিকল্পনা করা এবং তা কার্যকর করা অনেক কঠিন। কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার মিশিগানের একমাত্র প্রজাতি নয়; যদিও আমরা মনে করি তারা বিশেষ, তবুও এমন অন্যান্য প্রজাতি রয়েছে যারা পরিচালনা ও সংরক্ষণের জন্য তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে।”
মিশিগানে আবারও হুমকির মুখে কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার
Photo : Creazilla
ল্যান্সিং, ৫ আগস্ট: এক সময় বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাওয়া কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার পাখি আবারও সংকটে। গত চার দশকে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে কিছুটা উন্নতি হলেও, ২০২৫ সালের সর্বশেষ বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে, এ প্রজাতির সংখ্যা আবারও কমতে শুরু করেছে।
মিশিগান প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, এবারের জরিপে ছোট ধূসর-হলুদ গায়ক পাখিটির মাত্র ১,৪৮৯টি প্রজনন জোড়া শনাক্ত করা গেছে, যেখানে ২০২১ সালে সংখ্যা ছিল ২,২৪৫ জোড়া। প্রায় ৯৮ শতাংশ কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলারের আবাসস্থল মিশিগানে, বাকি সামান্য কিছু অন্টারিও ও উইসকনসিনে। জনসংখ্যার এই নিম্নমুখী প্রবণতা আগামী কয়েক বছর অব্যাহত থাকতে পারে বলেও সতর্ক করেছে ডিএনআর।
এই সংকটের মূল কারণ আবাসস্থলের সংকট। কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলাররা প্রজননের জন্য নির্ভর করে তরুণ জ্যাক পাইন বনের ওপর, যেখানে তারা মাটিতে বাসা বাঁধে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দাবানলের পর জ্যাক পাইন বন পুনর্জন্ম লাভ করে। কিন্তু বিগত কয়েক দশক ধরে বন সংস্থাগুলো কৃত্রিমভাবে সেই প্রক্রিয়া অনুকরণ করে আসছে, পুরোনো বন পরিষ্কার করে নতুন গাছ রোপণ করে।
সমস্যা দেখা দেয় ১৯৮০-এর দশকে গৃহীত ব্যাপক পুনরোপণ কর্মসূচির ফলস্বরূপ। এখন মিশিগানের অধিকাংশ জ্যাক পাইন বনই ৩০-৪০ বছর বয়সী, যা কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলারের প্রজননের জন্য অনেকটাই অনুপযুক্ত। কারণ এই পাখি ২০ বছরের বেশি বয়সী বন ব্যবহার করে না, আর কাঠ সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করতে হয় অন্তত ৬০ বছর।
ফলে তৈরি হয়েছে এক প্রকার বন ব্যবস্থাপনা সংকট। এই 'মধ্যবয়সী' বনগুলো পাখির বাসার জন্য যেমন পুরোনো, তেমনি কাঠ কাটার জন্যও অপরিপক্ব। এতে করে নতুন জ্যাক পাইন বন গড়ে তোলার কাজ পিছিয়ে পড়ছে।
এই সমস্যার আরেকটি দিক অর্থনৈতিক। কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার অ্যালায়েন্সের নির্বাহী পরিচালক বিল রাপাই বলেন, "জ্যাক পাইন মূলত একটি আবর্জনা প্রজাতি।" এর কাঠের বাজারদর খুবই কম, এবং এটি সাধারণত চিপবোর্ড, মালচ বা জ্বালানি কাঠ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়। অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন এই গাছ কাটার কাজেও আগ্রহ দেখায় না।
মিশিগান অডুবনের শিক্ষা ও ইভেন্ট ব্যবস্থাপক লিন্ডসে কেইন জানিয়েছেন, ক্রমবর্ধমান কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত তরুণ জ্যাক পাইন বন নিশ্চিত করতে যথেষ্ট অর্থ ব্যয় করা হয়। এটি রাজ্য ও ফেডারেল এজেন্সিগুলোর জন্য একটি চ্যালেঞ্জ, যাদের বিভিন্ন প্রজাতির জন্য প্রচুর সমর্থন প্রদান করতে হয়। তিনি বলেন, “সবার পূর্ণ সমর্থন ছাড়া পর্যাপ্ত জমির পরিকল্পনা করা এবং তা কার্যকর করা অনেক কঠিন। কির্টল্যান্ডের ওয়ার্বলার মিশিগানের একমাত্র প্রজাতি নয়; যদিও আমরা মনে করি তারা বিশেষ, তবুও এমন অন্যান্য প্রজাতি রয়েছে যারা পরিচালনা ও সংরক্ষণের জন্য তাদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে।”
Source : http://detroitnews.com

সম্পাদকীয় :

চিনু মৃধা : সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি

সম্পাদক ও প্রকাশক : চিন্ময় আচার্য্য, নির্বাহী সম্পাদক : কামাল মোস্তফা, সহযোগী সম্পাদক : আশিক রহমান,

বার্তা সম্পাদক : তোফায়েল রেজা সোহেল, ফিচার এডিটর : সৈয়দ আসাদুজ্জামান সোহান, স্টাফ রিপোর্টার : মৃদুল কান্তি সরকার।

অফিস :

22021 Memphis Ave Warren, MI 48091

Phone : +1 (313) 312-7006

Email : [email protected]

Website : www.suprobhatmichigan.com