
ঢাকা, ৬ আগস্ট : আজ ২২শে শ্রাবণ, বাংলা সাহিত্যের অমর পুরুষ, বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস। বাংলা ১৩৪৮ সালের এই দিনে, ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট, কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা ভাষা হারায় তার শ্রেষ্ঠ কবিকে, আর বিশ্বসাহিত্য এক অনন্য পথপ্রদর্শককে।
১৮৬১ সালের ৭ মে (বাংলা ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮) কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা সারদা দেবীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি। ১৩ ভাইবোনের মধ্যে ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ বড় হয়েছিলেন এক সৃজনশীল ও সাহিত্যপ্রবণ পরিবেশে। ঠাকুরবাড়ির প্রতিটি প্রহরে ছিল সংগীত, নাটক, চর্চা, ভাবনা ও মুক্তবুদ্ধির উন্মেষ।
রবীন্দ্রনাথ কিশোর বয়সেই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। মাত্র আট বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু এবং অল্প বয়সেই ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’ নামে লিখেছিলেন বৈষ্ণব পদাবলী। তাঁর সাহিত্যজীবনে কবিতা, গান, গল্প, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধসহ প্রতিটি শাখায় রয়েছে অসাধারণ সৃষ্টিসম্ভার।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ "গীতাঞ্জলি" তাঁকে এনে দেয় ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। যা ছিল কোনও অ-ইউরোপীয় সাহিত্যিকের জন্য প্রথম। তাঁর রচনায় বাংলার প্রকৃতি, প্রেম, মানবতা, বাঙালির জাতিসত্তা এবং বিশ্বমানবের বাণী উচ্চারিত হয়েছে নিরন্তর।
বিশ্বকবির কণ্ঠে উচ্চারিত দুটি গান “আমার সোনার বাংলা” এবং “জন গণ মন” যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো কবির এই অনন্য কীর্তি নেই।
বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আয়োজন করেছে আলোচনা, আবৃত্তি ও রবীন্দ্রসংগীতের আসর। ভার্চুয়াল মাধ্যমেও দেশ-বিদেশের অসংখ্য সংগঠন কবিগুরুর স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
রবীন্দ্রনাথ কেবল সাহিত্যিক নন, তিনি ছিলেন এক মানবতাবাদী চিন্তানায়ক, যাঁর চিন্তা আমাদের অস্তিত্ব ও আত্মপরিচয়ের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাঁর সৃষ্টি যুগের সীমা ছাড়িয়ে, সময়ের বাঁধন টপকে, আজও মানুষকে আলো দেয়, সাহস দেয়, ভালোবাসার পথ দেখায়।
বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে আমাদের শ্রদ্ধা হোক তাঁর চেতনায় “জীবনের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ” এই বাণীকে বুকে ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথকে তুলে ধরাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
১৮৬১ সালের ৭ মে (বাংলা ২৫ বৈশাখ, ১২৬৮) কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মাতা সারদা দেবীর সর্বকনিষ্ঠ সন্তান ছিলেন তিনি। ১৩ ভাইবোনের মধ্যে ছোট্ট রবীন্দ্রনাথ বড় হয়েছিলেন এক সৃজনশীল ও সাহিত্যপ্রবণ পরিবেশে। ঠাকুরবাড়ির প্রতিটি প্রহরে ছিল সংগীত, নাটক, চর্চা, ভাবনা ও মুক্তবুদ্ধির উন্মেষ।
রবীন্দ্রনাথ কিশোর বয়সেই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। মাত্র আট বছর বয়সে কবিতা লেখা শুরু এবং অল্প বয়সেই ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’ নামে লিখেছিলেন বৈষ্ণব পদাবলী। তাঁর সাহিত্যজীবনে কবিতা, গান, গল্প, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধসহ প্রতিটি শাখায় রয়েছে অসাধারণ সৃষ্টিসম্ভার।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ "গীতাঞ্জলি" তাঁকে এনে দেয় ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার। যা ছিল কোনও অ-ইউরোপীয় সাহিত্যিকের জন্য প্রথম। তাঁর রচনায় বাংলার প্রকৃতি, প্রেম, মানবতা, বাঙালির জাতিসত্তা এবং বিশ্বমানবের বাণী উচ্চারিত হয়েছে নিরন্তর।
বিশ্বকবির কণ্ঠে উচ্চারিত দুটি গান “আমার সোনার বাংলা” এবং “জন গণ মন” যথাক্রমে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো কবির এই অনন্য কীর্তি নেই।
বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, ছায়ানটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আয়োজন করেছে আলোচনা, আবৃত্তি ও রবীন্দ্রসংগীতের আসর। ভার্চুয়াল মাধ্যমেও দেশ-বিদেশের অসংখ্য সংগঠন কবিগুরুর স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
রবীন্দ্রনাথ কেবল সাহিত্যিক নন, তিনি ছিলেন এক মানবতাবাদী চিন্তানায়ক, যাঁর চিন্তা আমাদের অস্তিত্ব ও আত্মপরিচয়ের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাঁর সৃষ্টি যুগের সীমা ছাড়িয়ে, সময়ের বাঁধন টপকে, আজও মানুষকে আলো দেয়, সাহস দেয়, ভালোবাসার পথ দেখায়।
বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে আমাদের শ্রদ্ধা হোক তাঁর চেতনায় “জীবনের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ” এই বাণীকে বুকে ধরে নতুন প্রজন্মের কাছে রবীন্দ্রনাথকে তুলে ধরাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।