
শুক্রবার, ৬ জুন সূর্যাস্তের সময় মিশিগানের কমার্স টাউনশিপে দেখা যায় কানাডীয় দাবানলের ধোঁয়াশা। গবেষকরা সতর্ক করেছেন—বাতাসে ভেসে থাকা ধোঁয়ার কণার সংস্পর্শ স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াতে পারে, যার মধ্যে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও রয়েছে/Photo : David Guralnick, The Detroit News
ডেট্রয়েট, ৯ আগস্ট : এই মাসে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের ধোঁয়া মিশিগানবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা দৃশ্যত পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরও থেকে যাবে।
দাবানলের ধোঁয়ার কণাগুলো এতটাই ক্ষুদ্র যে (মানুষের চুলের গড় ব্যাসের কমপক্ষে ৩০ গুণ ছোট) তা রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করতে পারে। ফলে ফুসফুস, হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কের জন্য একযোগে হুমকি তৈরি হয়, বলছেন চিকিৎসা গবেষকরা।
ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের মহামারীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভস জার্নালের সহযোগী সম্পাদক সারা আদর জানান, কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকরা জানেন যে বায়ুদূষণ অকাল মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত। পরবর্তী গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, এটি শ্বাসযন্ত্র ও রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার ক্ষতি করে। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) জানায়, সূক্ষ্ম কণার সংস্পর্শে কাশি, শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, হাঁপানির আক্রমণসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গত দশকে, দূষণকারী পদার্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেওয়ার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে। আদর বলেন, “আমাদের মস্তিষ্ক অক্সিজেন সরবরাহ ও রক্ত পাম্পের ওপর অত্যন্ত সংবেদনশীল। যে কোনো কিছু যা রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে যা হৃদরোগের কারণ ..., তা মস্তিষ্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
এ বিষয়ে নতুন করে গুরুত্ব তৈরি হয়েছে, কারণ এই গ্রীষ্মে দাবানলের ধোঁয়ার কারণে মিশিগানে অন্তত ২৬ বছরের মধ্যে সর্বাধিক বায়ু মান সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নাসা জানিয়েছে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা তীব্রতর হচ্ছে, যা বিশেষ করে কানাডার মতো উত্তরাঞ্চলে দাবানলের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের পরিবেশ ও স্থায়িত্ব স্কুলের ডিন জোনাথন ওভারপেক বলেন, “এটি একেবারেই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা। আমরা এর মূল্য দিচ্ছি। যতদিন জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে পৃথিবীকে আরও উষ্ণ ও শুষ্ক করে তুলব, ততদিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
Source & Photo: http://detroitnews.com
ডেট্রয়েট, ৯ আগস্ট : এই মাসে রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া দাবানলের ধোঁয়া মিশিগানবাসীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে, যা দৃশ্যত পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পরও থেকে যাবে।
দাবানলের ধোঁয়ার কণাগুলো এতটাই ক্ষুদ্র যে (মানুষের চুলের গড় ব্যাসের কমপক্ষে ৩০ গুণ ছোট) তা রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করতে পারে। ফলে ফুসফুস, হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কের জন্য একযোগে হুমকি তৈরি হয়, বলছেন চিকিৎসা গবেষকরা।
ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের মহামারীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পারসপেক্টিভস জার্নালের সহযোগী সম্পাদক সারা আদর জানান, কয়েক দশক ধরে চিকিৎসকরা জানেন যে বায়ুদূষণ অকাল মৃত্যুর সঙ্গে সম্পর্কিত। পরবর্তী গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, এটি শ্বাসযন্ত্র ও রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার ক্ষতি করে। মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC) জানায়, সূক্ষ্ম কণার সংস্পর্শে কাশি, শ্বাসকষ্ট, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, হাঁপানির আক্রমণসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গত দশকে, দূষণকারী পদার্থ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দেওয়ার সঙ্গেও যুক্ত হয়েছে। আদর বলেন, “আমাদের মস্তিষ্ক অক্সিজেন সরবরাহ ও রক্ত পাম্পের ওপর অত্যন্ত সংবেদনশীল। যে কোনো কিছু যা রক্তনালিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে যা হৃদরোগের কারণ ..., তা মস্তিষ্ককেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।”
এ বিষয়ে নতুন করে গুরুত্ব তৈরি হয়েছে, কারণ এই গ্রীষ্মে দাবানলের ধোঁয়ার কারণে মিশিগানে অন্তত ২৬ বছরের মধ্যে সর্বাধিক বায়ু মান সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নাসা জানিয়েছে, মানবসৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খরা তীব্রতর হচ্ছে, যা বিশেষ করে কানাডার মতো উত্তরাঞ্চলে দাবানলের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের পরিবেশ ও স্থায়িত্ব স্কুলের ডিন জোনাথন ওভারপেক বলেন, “এটি একেবারেই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা। আমরা এর মূল্য দিচ্ছি। যতদিন জীবাশ্ম জ্বালানি পুড়িয়ে পৃথিবীকে আরও উষ্ণ ও শুষ্ক করে তুলব, ততদিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
Source & Photo: http://detroitnews.com