
বর্তমান বিশ্বের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ধর্ম এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার মতো ধর্মীয় বৈচিত্র্যে ভরপুর অঞ্চলে, ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেন এক প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছে। একদিকে ধর্ম হচ্ছে ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আত্মিক সাধনার মাধ্যম, অন্যদিকে রাজনীতি হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার কৌশল ও ক্ষমতার খেলা। কিন্তু এই দুটি ভিন্নধর্মী ক্ষেত্র একে অপরের সঙ্গে মিশে গেলে সমাজে জন্ম নেয় নানা ধরনের জটিলতা, বিভাজন এবং কখনও কখনও সহিংসতা।
ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের ইতিহাস খুব পুরনো। রাজতন্ত্র, উপনিবেশবাদ কিংবা আধুনিক গণতন্ত্র সব ক্ষেত্রেই শাসকগণ ধর্মকে ব্যবহার করেছেন জনগণকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করার উপায় হিসেবে। ধর্মের মাধ্যমে সহজেই জনমানসকে আবেগতাড়িত করা যায়, তাই রাজনীতিতে ধর্ম এক প্রভাবশালী অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতারা নির্বাচনের সময় ধর্মীয় আবেগকে উস্কে দিয়ে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে থাকেন।
বর্তমানে ধর্ম যেন এক বিভাজনের অস্ত্র। হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কিংবা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে কৃত্রিম বিভেদ তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এই প্রবণতায় গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি- সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সংহতি ধ্বংসের মুখে পড়ছে। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক নেতারা ভোটের রাজনীতি করছেন, যা সমাজে দীর্ঘমেয়াদি উত্তেজনা ও ঘৃণা সৃষ্টি করছে।
ধর্মকে রাজনীতির সাথে মিশিয়ে ফেলার সবচেয়ে বড় ফলাফল হলো সামাজিক বিভক্তি। একটি জাতিকে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ভাগ করে দিলে জাতীয় ঐক্য দুর্বল হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বঞ্চনার শিকার হন, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি আস্থা হারান। ফলে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যায় যুক্তি, বিচার ও নীতিনিষ্ঠতা প্রাধান্য পায় আবেগ, গুজব ও উগ্রতা।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সচেতন নাগরিক সমাজ ও শিক্ষিত নেতৃত্ব। ধর্মকে তার প্রকৃত জায়গায়, ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক সাধনার স্তরে রাখতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ধর্মনিরপেক্ষ নীতি মেনে চলা, যাতে প্রতিটি ধর্মাবলম্বী নাগরিক সমান মর্যাদা ও নিরাপত্তা পায়। পাশাপাশি, শিক্ষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলতে হবে।
ধর্ম ও রাজনীতি, উভয়েরই সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু এই দুইয়ের মিশ্রণ হলে তা হতে পারে মারাত্মক। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানিয়ে যদি রাজনীতি সত্যিকারের উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও মানবিকতার পথে পরিচালিত হয়, তবে একটি সুশৃঙ্খল, সমবেত ও সহনশীল সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই এখনই সময়, ধর্মনিরপেক্ষ ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির পথে ফিরে যাওয়ার।
ধর্মের রাজনৈতিক ব্যবহারের ইতিহাস খুব পুরনো। রাজতন্ত্র, উপনিবেশবাদ কিংবা আধুনিক গণতন্ত্র সব ক্ষেত্রেই শাসকগণ ধর্মকে ব্যবহার করেছেন জনগণকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাবিত করার উপায় হিসেবে। ধর্মের মাধ্যমে সহজেই জনমানসকে আবেগতাড়িত করা যায়, তাই রাজনীতিতে ধর্ম এক প্রভাবশালী অস্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নেতারা নির্বাচনের সময় ধর্মীয় আবেগকে উস্কে দিয়ে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে থাকেন।
বর্তমানে ধর্ম যেন এক বিভাজনের অস্ত্র। হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান কিংবা অন্যান্য সম্প্রদায়ের মধ্যে কৃত্রিম বিভেদ তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এই প্রবণতায় গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি- সহনশীলতা, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সংহতি ধ্বংসের মুখে পড়ছে। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে রাজনৈতিক নেতারা ভোটের রাজনীতি করছেন, যা সমাজে দীর্ঘমেয়াদি উত্তেজনা ও ঘৃণা সৃষ্টি করছে।
ধর্মকে রাজনীতির সাথে মিশিয়ে ফেলার সবচেয়ে বড় ফলাফল হলো সামাজিক বিভক্তি। একটি জাতিকে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে ভাগ করে দিলে জাতীয় ঐক্য দুর্বল হয়ে পড়ে। একইসঙ্গে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা বঞ্চনার শিকার হন, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতি আস্থা হারান। ফলে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যায় যুক্তি, বিচার ও নীতিনিষ্ঠতা প্রাধান্য পায় আবেগ, গুজব ও উগ্রতা।
এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন সচেতন নাগরিক সমাজ ও শিক্ষিত নেতৃত্ব। ধর্মকে তার প্রকৃত জায়গায়, ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক সাধনার স্তরে রাখতে হবে। রাষ্ট্রীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত ধর্মনিরপেক্ষ নীতি মেনে চলা, যাতে প্রতিটি ধর্মাবলম্বী নাগরিক সমান মর্যাদা ও নিরাপত্তা পায়। পাশাপাশি, শিক্ষার মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলতে হবে।
ধর্ম ও রাজনীতি, উভয়েরই সমাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, কিন্তু এই দুইয়ের মিশ্রণ হলে তা হতে পারে মারাত্মক। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানিয়ে যদি রাজনীতি সত্যিকারের উন্নয়ন, ন্যায়বিচার ও মানবিকতার পথে পরিচালিত হয়, তবে একটি সুশৃঙ্খল, সমবেত ও সহনশীল সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। তাই এখনই সময়, ধর্মনিরপেক্ষ ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির পথে ফিরে যাওয়ার।