
ঢাকা, ১৫ আগস্ট : আজ ১৫ আগস্ট শুক্রবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাতবার্ষিকী। ইতিহাসের এই দিনেই সপরিবারে হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধুকে। গতবারের মতো এবারও দিবসটি এসেছে ভিন্ন আবহে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হত্যা করা হয় তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়।বঙ্গবন্ধুকে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় দাফন করা হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবারও ১৫ আগস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। জুলাই আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ায়ী লীগ সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও ফেসবুকের মতো সামাজিকমাধ্যমে আলোচনা ও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে শোক জানানো হয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেখানে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) ও রায়টকার মোতায়েন করা হয়েছে। বিকেল থেকেই এলাকার প্রবেশপথগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও পথচারীর চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। একইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
৩২ নম্বর এলাকায় ‘সন্দেহজনক’ ঘোরাঘুরির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও রাত ১২টার দিকে শুক্রাবাদ মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ পুরো আগস্ট মাস জুড়ে শোক পালনে নানা কর্মসূচির আয়োজন করত। ছাত্র-জনতার প্রবল গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকেও দেশ ছাড়েন। এছাড়া, অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ধানমন্ডির বাড়িতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে হত্যা করা হয় তার সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসেরকে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর ফোন পেয়ে তার জীবন বাঁচাতে ছুটে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল, এসবির কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান ও সেনা সদস্য সৈয়দ মাহবুবুল হককে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবলীগ নেতা শেখ ফজলুল হক মনির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হামলা করে তাকে ও তার কন্যা বেবী, পুত্র আরিফ সেরনিয়াবাত, নাতি সুকান্ত বাবু, সেরনিয়াবাতের বড় ভাইয়ের ছেলে সজীব সেরনিয়াবাত এবং এক আত্মীয় রেন্টু খানকে হত্যা করা হয়।বঙ্গবন্ধুকে জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় দাফন করা হলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের ঢাকার বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই বছর রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথম শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট ক্ষমতায় এলে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। তবে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবারও ১৫ আগস্টকে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। জুলাই আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ায়ী লীগ সরকারের পতনের পর ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি বাতিল করে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগ ও তার নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যদিও ফেসবুকের মতো সামাজিকমাধ্যমে আলোচনা ও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ১৫ আগস্ট উপলক্ষ্যে শোক জানানো হয়েছে।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেখানে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) ও রায়টকার মোতায়েন করা হয়েছে। বিকেল থেকেই এলাকার প্রবেশপথগুলোতে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও পথচারীর চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। একইসঙ্গে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।
৩২ নম্বর এলাকায় ‘সন্দেহজনক’ ঘোরাঘুরির অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। যদিও রাত ১২টার দিকে শুক্রাবাদ মোড়ে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
২০২৩ সাল পর্যন্ত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ পুরো আগস্ট মাস জুড়ে শোক পালনে নানা কর্মসূচির আয়োজন করত। ছাত্র-জনতার প্রবল গণঅভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকেও দেশ ছাড়েন। এছাড়া, অনেক নেতাকর্মী আত্মগোপনে চলে যান।